দুই বিঘা বড় ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ
মো: শাহাদাত হোসেন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা)
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের মহিষপুর গ্রামের কৃষক মোঃ মুনিরুল ইসলামের ২ বিঘা পাকা বোরে ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে অর্থের কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষক মুনিরুলের মুখে হাসি ফুটেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আনোয়ার হোসেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন কাদির, দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আওয়াল হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সানোয়ার হোসেন শিহাব, মোঃ মুরসালিন, মোঃ পারভেজ, মোঃ রোকন আলী, মোঃ হাসানুল ইসলাম রাসেল, ছাত্রলীগের কর্মী মোঃ রায়হান জামিল পিয়াস, মোঃ শেখ জামাল, মোঃ ইউনূস, মোঃ দ্বীপ, মোঃ ইসারোফ, মোঃ ইসমাইল, মোঃ সুমন, মোঃ মোহতাসিন, মোঃ কবিরসহ অন্যারা।
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্নস্থানে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন শ্রমিক সংকটময় মুহুর্তে দেশের সোনার ফসল ফলানো কৃষকের পাশে দাঁড়াতে পারাটা অনেকটা সৌভাগ্যের। তাই কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা মাঠে ধান কেটে কৃষক ভাইদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি।
কৃষক মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মজুরি এবার বাড়তি। আবার বাইরে থেকে শ্রমিক কম আসায় সংকট রয়েছে। ঝড়বৃষ্টির শঙ্কায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আমার ছেলে একজন ছাত্রলীগের কর্মী। শ্রমিক সংকটের কথা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জানালে, আমার ২ বিঘা জমির ধানগুলো কেটে দিয়েছেন। তাদের এমন কাজে ভীষণ খুশি আমি।’তিনি আরও বলেন, কোনও প্রতিদান ছাড়াই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধানগুলো ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাদের মতো বাকিরাও যদি এভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতো, তাহলে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগতো না স্থানীয় কৃষকদের।