ঝাউডাঙ্গায় বৃষ্টিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের বোরো ধান!
মোঃ আজগার আলী, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
ধার দেনা করে চাষ করা ধান ঘরে তুলে বছরের খোরাকি আর ঋণ শোধের যে স্বপ্ন এত দিন কৃষকেরা দেখছিলেন হঠাৎ বৃষ্টিতে তা ফিকে হয়ে গেছে। ভিজে যাওয়া ধান শুকিয়ে কবে ঘরে তুলতে পারবেন নাকি জমিতে ভিজে ধানে চারা গজিয়ে যাবে তা নিয়ে এখন চিন্তিত কৃষক। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঝাউডাঙ্গা এলাকায় কয়দিন থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর এই বৃষ্টির পানিতে ভাসছে মাঠে কেটে রাখা কৃষকের স্বপ্নের বোরো ধান। হতাশা গ্রস্থ এলাকার কৃষকদ্বয়।
আজ সোমবার আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে ইউনিয়নের রাজবাড়ী, হাচিমপুর, ছয়ঘরিয়া, পাথরঘাটা, যোগরাজপুর, তুজলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠের পর মাঠ পাকা ধান কেটে ও আঁটি বেঁধে ফেলে রেখেছেন চাষিরা। অনেকে আবার গাড়ি ভরে বাড়ি নেওয়ার জন্য ক্ষেতে ধান গাদা (জালি) দিয়ে রেখেছেন। রবিবারের বৃষ্টিতে সব ধান ভিজে গেছে। খেতে জমা পানিতে এখন ভাসছে সব ধান। বৃষ্টিতে থেমে গেছে সাধারণ মানুষের কর্মজীবন। বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ার কারনে ইউনিয়নের বিভিন্ন আম চাষীদের আম গাছের ডাল ভেঙে বেশ ক্ষতি হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। কৃষকেরা বলছেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ৩৩ শতকের বিঘাতে ২৫-২৮ মণ করে ফলন পাচ্ছে কৃষক। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে ধান বাড়ির উঠানে তুলতে পারলে কৃষক বেশ লাভবান হতেন।
রাজবাড়ী গ্রামের চাষি দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, মাঠে সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান কাটা রয়েছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা দেখে তাড়াতাড়ি মাঠে যেয়ে কিছু ধান বাঁধতে পেরেছি। এখন সব ধান পানির নিচে।’ একই গ্রামের পলাশ ঘোষ বলেন, ‘দেড়বিঘা জমিতে ধান পেকে আছে। সকালে যেয়ে কাটা শুরু করার কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।’ পাথরঘাটা গ্রামের ফিরোজ হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে বিচালি নষ্ট হয়ে গো খাদ্যের চরম অভাব দেখা দিতে পারে। বিচালির দামও দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এ ভাবে যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে পাকা ধান ঘরে তোলা কৃষকের অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।