রংপুরে চরের কুমড়া যাচ্ছে বিদেশে
মাটি মামুন রংপুর।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলার শ্রমজীবী মানুষের সংসারে চলছে টানাপোড়েন।
ঠিক এমন সময় চরে আবাদ করা মিষ্টিকুমড়ায় স্বস্তি মিলেছে তাঁদের ঘরে।
এবারই প্রথম মহিপুর তিস্তা চরের মিষ্টিকুমড়া যাচ্ছে
সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়।
চরের সবজি বিদেশে রপ্তানি হওয়ায় দামও মিলছে ভালো।
পাশাপাশি এ সবজি ঘিরে কর্মসংস্থান হয়েছে শ্রমিক-মজুর,ভ্যানচালকসহ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
ছালাপাক চরের বাসিন্দা মজিবর রহমান ৮০
শতক জমিতে কুমড়ার আবাদ করেছেন।
এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছেন।
ঘরে যে পরিমাণ কুমড়া আছে, তা আরও ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা তাঁর।
মহিপুর এলাকার কৃষক একরামুল হক ও তারা মিয়া বলেন,পাইকারি হিসেবে বর্তমানে প্রতি কেজি কুমড়া ২০
থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অক্টোবরের প্রথম দিকে লাগানো কুমড়া মার্চ এপ্রিল মাসে কৃষকদের ঘরে ওঠে।
এ সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায় তাঁদের। ব্যবসায়ীরা দম ফেলার ফুরসত পান না। ফসলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারী-পুরুষ শ্রমিকরাও সবজি প্যাকেটজাত করেন।
গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক চর, রাজবল্লভ, মতলেব
বাজার, লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের মহিপুর, শংকরদহ,
কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা, মটুকপুরসহ
বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট ঘরে থরে
থরে সাজানো রয়েছে মিষ্টিকুমড়া।
এসব এলাকা ঘিরে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর প্রান্তের আধা কিলোমিটার অংশজুড়ে গড়ে উঠেছে
মিষ্টিকুমড়ার বাজার। খুচরা ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা
সেখান থেকে কুমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরমান আলী নামে এক দোকানি জানান, এক
মাস ধরে কুমড়া বিক্রি করছেন। ভালোই দাম
পাচ্ছেন। স্থানীয় ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান,
অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা বাজারে প্যাকেট হয়ে
সরাসরি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে মহিপুর তিস্তার চরে উৎপাদিত মিষ্টিকুমড়া।
রংপুর এগ্রোর ইনচার্জ আতোয়ার রহমান
জানান, এ পর্যন্ত ৪০০ টনের বেশি কুমড়া
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
প্রতি কেজি কুমড়ার দাম পড়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকা।