নাসির উদ্দিন নয়ন স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাংবাদিক নারীও রেহাই পেলেন না সামাজিক ব্যাধি যৌতুক থেকে। সংবাদ কর্মী যশোরের ঝিকরগাছার সুরাইয়া যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী শশুরের নির্যাতনে বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ ঐ নির্যাতনকারী শশুরকে ধরে বৃহস্পতিবার আদালতে সোর্পদ করেছে। তাকে বুধবার রাতেই কর্মস্থল থেকে পুলিশ আটক করেন। ভূক্তভোগী সুরাইয়ার পিতা কাউরিয়া শেখপাড়ার বাসিন্দা খন্দকার ওবাইদুল্লা (৬৫) এর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে আটক কর হয়। এজাহারে বর্নিত অভিযোগ অনুসারে যশোর পাট গবেষনা কেন্দ্রের কর্মকর্তা মঈনুদ্দীনের ছেলে রাজীব মোল্লার সাথে খন্দকার ওবাইদুল্লার মেয়ে সুরাইয়া খাতুনের ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় প্রায় ৫ বছর আগে। রাজীব মোল্লার বাড়ি গোপালগ্ঞ্জ জেলার মকছেদপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে। তবে চাকুরির সুবাদে তারা শহরতলীর শেখহাটি দক্ষিনপাড়ার কাশেমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। বিয়ের পর থেকে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ী নানা কারনে প্রায় নগদ টাকা যৌতুক দাবি করে। কন্যার সুখের কথা বিবেচনা করে কয়েক দফায় প্রায় ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এর পরে আরো ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সুরাইয়া কে স্বামী রাজীব মোল্লা, শশুর মঈনুদ্দীন মোল্লা ও শাশুড়ী রোজিনা বেগম (৪৫) মারধোর করে তার পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় হয়। সুরাইয়া খাতুন বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করতে গেলে তাকে সেখানে লোকজনের সামনে মারধোর করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে তার পিতা হাসপাতালে এসে কণ্যার অবস্থা দেখে থানায় অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ পত্রে বিবাদি ৩ জন। এরা হলেন, সুরাইয়ার স্বামী রাজীব মোল্লা, শশুর মঈনুদ্দীন মোল্লা ও শাশুড়ী রোজিনা বেগম। আহত সুরাইয়া খাতুন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। একই সাথে তিনি যশোরের একটি পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধিও। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার জানিয়েছেন সুরাইয়া খাতুন অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে এখন তিনি খানিকটা হলেও আশঙ্কামুক্ত। তার নিবিড় চিকিৎসা চলছে। আরো কয়েক দিন পর বলা যাবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন।