যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে (র্যাব-১৪)
মোঃ মোখলেছুর রহমান ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি
ফুলবাড়ীয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর শাহজাহান উরফে (সাজু ) হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী-কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। র্যাব-১৪ (সিপিএসসি) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এম.এম. সবুজ রানা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) র্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার কাশিমপুুর থানাধীন জিরানী এলাকা হতে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার চাঞ্চল্যকর শাহজাহান উরফে (সাজু) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মৃত রাজ মাহমুদ ফকিরের ছেলে মোঃ সেকান্দার আলী (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে। জানা যায়, মোঃ সেকান্দার আলী ফুলবাড়ীয়া উপজেলার শ্রীপুরের বাসিন্দা। মামলার রায় পর্যালোচনা এবং আসামীকে জিজ্ঞসাবাদে জানা যায় ফুলবাড়ীয়া থানার শ্রীপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ভিকটিম নিহত শাহজাহান উরফে (সাজু ৫৫) ২য় বিয়ে করে একই থানার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে ২য় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। ভিকটিম শাহজাহানের ২য় বিয়ে কে কেন্দ্র করে তার প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে সাজেদা খাতুন গ্রেফতারকৃত আসামী সেকান্দার আলীকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে গত (৫ আগস্ট ২০১৬) সন্ধ্যা অনুমান সন্ধা ৭টার দিকে ভিকটিমের বসবাসরত রাঙ্গামাটিয়ার বাড়ীতে কৌশলে প্রবেশ করে এলোপাতারি কুপিয়ে ভিকটিম শাহজাহানের হত্যা নিশ্চিত করে লাশ বাড়ীর পাশ্বে একটি পুরাতন কূপের মধ্যে ফেলে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। উক্ত হত্যাকান্ড অন্যদিকে প্রভাহিত করার জন্য ভিকটিমের প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুন নিজেই বাদী হয়ে ২য় স্ত্রী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফুলবাড়ীয়া থানার মামলা নং- ০৮(০৮)১৬, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। পরবর্তীতে দীর্ঘ তিন মাস তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সেকান্দার আলী কে গ্রেফতার করেন। সেকান্দার আলীর দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার তিন মাস পর ভিকটিমের লাশ কূপ থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন এবং আসামী সেকান্দার আলী উক্ত হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী সেকান্দার আলীর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারকৃত আসামী সেকান্দার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন এবং হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে দঃ বিঃ ২০১ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত তাকে আরো ০৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ০৭ (সাত) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল।