1. admin@dailypollyerkagoj.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ধনবাড়ীতে হোটেল -রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকান শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি পুনর্গঠন  রূপগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ শিক্ষার্থীর প্রতি শ্লীলতাহানির অভিযোগেপ্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি কালীগঞ্জ উপজেলা  বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় কালিগঞ্জে প্যানেল চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন  রামপালে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ মোহনপুরে সুধীজনদের সাথে রাজশাহীর নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  কালীগঞ্জে দেশী মদ তৈরির আস্তানায় অভিযান, প্রায় ৪শত লিটারদেশীয় মদ উদ্ধার, আটক ১ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নগরীর ৩নং ওয়ার্ড থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি রাজশাহীর বাঘায় চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

হাঁড়িভাঙা আমে চাঙা রংপুরের অর্থনীতি 

দৈনিক পল্লীর কাগজ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ৮০ বার পঠিত

হাঁড়িভাঙা আমে চাঙা রংপুরের অর্থনীতি

 

মাটি মামুন রংপুর।

হাঁড়িভাঙা আম রংপুরের অর্থনীতিতে চালিকা শক্তি হয়ে

দাঁড়িয়েছে। বিষমুক্ত এ আমের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।

কয়েক বছর ধরে ফলন ভালো হওয়ায় বেড়েছে আম

উৎপাদনের পরিধিও।

রংপুর সদর, মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃত এলাকার ফসলি জমি, উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে এ আম। রংপুর সদর এলাকা ছেড়ে মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের

পদাগঞ্জে দেখা মিলবে সারি সারি গাছ।

রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন ফসলি জমির আইলে লাগানো হয়েছে আমের গাছ। বাদ পড়েনি বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা,

পুকুরপাড়, বাড়ির উঠান। এখন গাছে গাছে দোল খাচ্ছে অপরিপক্ক হাঁড়িভাঙা আম।

কৃষিবিভাগ বলছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে পরিপক্ক হাঁড়িভাঙা আম। এর আগে বাজারে হাঁড়িভাঙা আম পাওয়া গেলেও তা অপরিপক্ক হবে। হাঁড়িভাঙার প্রকৃত

স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রংপুর জেলায় ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর

জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। তাছাড়া ঝড় কিংবা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমের তেমন ক্ষতি হয়নি। অধিক দাবদাহ

থাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরও গত বছরের তুলনায় এবারে বেশি আমের ফলন হয়েছে। আমচাষি তবারক আলী এই প্রতিবেদক কে জানান তিনি ধান, ভুট্টা আর পাটচাষ করতেন। কিন্তু গ্রামে হাঁড়িভাঙা আম গাছের বাগানের পর বাগান দেখে তিনিও আমের

বাগান গড়ে তোলেন। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান এ

আমচাষি বলেন, ‘এবার আমের ফলন ভালো হইছে। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারবো। হাঁড়িভাঙা আম খুব সুস্বাদু মিষ্টি। চাহিদাও অনেক বেশি। এবার

আশা করি এ আম থেকে ভালো আয় করবো।’ আমচাষি ইসলাম বলেন, ‘আগে খালি ধান চাষ করতাম। এখন আম বাগান করছি লাভের জন্য। হাঁড়িভাঙা আম

চাবালুয়া, শ্যামপুর, হেলেঞ্চ, পাইকারেরহাট, জারুল্লাপুর,

খোঁড়াগাছ, গোপালপুর,সসরদারপাড়া, লালপুর, পদাগঞ্জ, তেকানি, দুর্গাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে।

এ আমকে ঘিরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে রংপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায়। তরুণ উদ্যোক্তা পলাশ বলেন, ‘প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে আম চাষ শুরু

করেছিলাম। লাভবান হওয়ার পর থেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙা আমের চাষাবাদ ও

ব্যবসা করছি। নিজের পাশাপাশি এলাকার অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে চেষ্টাও করছি।’ তিনি

আরো বলেন, ‘সরকার প্রধানের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে হাঁড়িভাঙা আম রফতানি শুরু হয়েছে।

আমরা এতে খুশি। তবে আর একটু দৃষ্টি দিলেই এ আমকে ঘিরে এ অঞ্চলের অর্থনীতি আরো সচল

হবে। এ জন্য সরকারের কৃষি সম্পপ্রসারণ, কৃষি বিপণন, পরিবহন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি। জানা যায়, এ

বছর ২২০-২৫০ কোটি টাকার আম বিক্রির আশা স্থানীয় আম চাষিদের। তবে আবহাওয়া ভালো

থাকলে হাঁড়িভাঙাসহ বিভিন্ন জাতের আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে এবারো বিদেশে রফতানি

করা সম্ভব হবে। রংপুর অঞ্চলে হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি হলেও ফজলি, এছাহাক,সছাইবুদ্দিন, সাদা ল্যাংড়া, কালা ল্যাংড়া, কলিকাতা ল্যাংড়া, মিশ্রিভোগ, গোপালভোগ, আমপালি, সাদারুচিসহ আরো

নানা প্রজাতির আম উৎপাদন হয়ে আসছে। এসব আমের ভিড়ে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা হাঁড়িভাঙার। একটি হাঁড়িভাঙা দবাগান আমের ওজন ২০০-৪০০ গ্রাম

পর্যন্ত হয়ে থাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর বলেন, এখন ব্যাপকভাবে হাঁড়িভাঙা আম চাষ হচ্ছে।

খুব বেশি পরিশ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করতে না হওয়ায় মানুষ আমচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। চাষি, ব্যবসায়ী ৩ মালিকদের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গত বছর ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ হয়। এবার তা বেড়ে ১ হাজার

৯০৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাঁড়িভাঙা আম

বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে এ আম বাজারে আসবে। রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, হাঁড়িভাঙা আমের বাজারজাত করতে যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সেটি মনিটরিং করা হবে। বিশেষ করে পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাশাপাশি সরকারি পরিবহন সুবিধার বিষয়টিও দেখা হবে।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ