জয়পুরহাটে হত্যা মামলার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও মামলার বাদী আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের মহব্বতপুর গ্রামে সাত হাজার টাকার জন্য হত্যা মামলার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও মামলার বাদী আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় তাকেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে মৃত্যুদণ্ড আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মামলার বাদীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদন্ডের আদেশ দেন।
আজ বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন এ রায় প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২০ মে রাত আনুমানিক আটটার দিকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহবতপুর গ্রামের আলম খাঁকে সাত হাজার পাওনা টাকার জন্য একই গ্রামের মো: শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আরজু আরা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৬ সালের ১২ নভেম্বর জয়পুরহাট আদালতে একটি মামলা করে। আদালত মামলাটি এজাহারের জন্য ক্ষেতলাল থানায় পাঠিয়ে দেন। আদালতের নির্দেশ ক্রমে ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় ক্ষেতলাল থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম সাত জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শাহিনকে মৃত্যুদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৬জন আসামিকে খালাস দেন। এর মধ্যে এক আসামি মামলা চলাকালীন সময় মৃত্যুবরণ করেন। সেইসাথে মামলার বাদী আলম খাঁর স্ত্রী আনজুয়ারার ৫ বছরের কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো আর কয় মাস আর ছয় মাসের আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
অন্যদিকে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাঘা পাড়া গ্রামে ২০১৯ সালে ২৯এপ্রিল এক গৃহবধূকে মারমিট করে গর্ভপাত করানোর হত্যা মামলার দায়ে মোকারম হোসেন নামে একজনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
৩১মে দুপুরে জয়পুরহাট জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক নুর ইসলাম এ মামলার রায় প্রদান করেন।