শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম বন্ধে দোষী অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তি চায় আমজনতা
আ স ম আবু তালেব:
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। জাতিকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার মহান দায়িত্ব শিক্ষা গুরু নামে খ্যাত একমাত্র শিক্ষক/শিক্ষিকার। আর সেই শিক্ষা গুরু যদি হয় লম্পট দূর্ণীতিগ্রস্ত তাহলে জাতির স্বার্থে সুশিক্ষিত দেশ প্রেমিক গড়ে ওঠা কখনোই সম্ভব নয়। দূঃখজনক হলেও সত্যি এমনি একজন দূর্নীতিবাজ শিক্ষকের আর্বিভাব ঘটেছে নওগাঁর বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজে। ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন কর্তৃক মূল রেজুলেশন কাটাকাটি ও স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া নিয়োগ দানের রেকর্ড সৃষ্টি প্রমাণিত হওয়ায় নিজের অপরাধ লুকাতে ও চাকরি বাচাঁতে পুনরায় কলেজে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র মিথ্যা অপবাদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেই যাচ্ছেন অভিযোগকারী শিক্ষক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে।
তার জালিয়াতি রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক মহোদয় প্রমাণ পেয়েছেন ও লিখিত মন্তব্য করেছেন এবং অধ্যক্ষের শাস্তির জন্য মাউশি অধিদপ্তর নির্দেশনা চেয়েছেন।
শাস্তি থেকে বাঁচতে বর্তমানে অধ্যক্ষের যড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি এখন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশিতে) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকায় কাজ চলমান রয়েছে। অধ্যক্ষের শাস্তি হবে তা জেনে অধ্যক্ষ এখন নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও নিজের চাকরি বাচাঁতে আইন ও নিয়মের সাথে না পেরে মাউশি অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অবজ্ঞা করে বর্তমানে কলেজে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সাথে পুনরায় অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী কলেজে উপস্থিত হওয়ার পরেও অধ্যক্ষ হাজিরা খাতা গোপন করেন এবং এরশাদ আলীকে স্বাক্ষর করতে বাঁধা প্রদান করেন স্বাক্ষর করতে দিচ্ছেন না কয়েক মাস যাবত। তাছাড়া অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাষক এরশাদ আলীকে কলেজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র করে নানাভাবে এরশাদ আলীকে পাগল, মাথা টালমাতাল, অকথ্য ভাষা ও উস্কানিমূলক নানা কথাবার্তা বলছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরশাদ আলীর বিষয় (অর্থনীতিতে) ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে নিষেধ করছেন ও অর্থনীতিতে ভর্তি শুণ্য করে দিচ্ছেন। এমন কি অর্থনীতিতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর নাম ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে লাল কালি দিয়ে গোপনে কেটে অধ্যক্ষ বাদ দিচ্ছেন।
এখন অধ্যক্ষ কলেজের অর্থ অপচয় ও নষ্ট করছেন এবং ছোটাছুটি করছেন শুধু নিজের চাকরি বাঁচাতে।
অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের স্হায়ী বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়, কলেজ গভর্নিং বডি, অন্যান্য শিক্ষক/কর্মচারী, ছাত্র – ছাত্রী, অভিভাবক এবং কলেজ এলাকার আমজনতা।
সেই সাথে সকলে ভুক্তভোগী বৈধ প্রভাষক ( অর্থনাীতি) মোঃ এরশাদ আলীর ক্ষতি পুরণ সহ বেতন ভাতা স্বল্প সময়ের মধ্যে চালুর জন্য মাউশি অধিদপ্তরের নিকট অনুরোধ করছেন কলেজের গভর্নিং বডি, উপাধ্যক্ষ, অন্যান্য সকল স্টাফ, ছাত্র- ছাত্রী ও কলেজ এলাকার আমজনতা। তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মাসাৎের অভিযোগও দিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর। দৈনিক পল্লীর কাগজের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রক্ষায় শিক্ষা গুরু নামক কলংক দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনকে অবিলম্বে অপসারণ ও যথোপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।