সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করার লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, ইসি আলমগীর
এস.এম.জামাল উদ্দিন শামীমঃ
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ট নিরপেক্ষ ও অবাধ এবং দেশী বিদেশীদের কাছে যাতে গ্রহনযোগ্যতা পায় সে জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। বিগত নির্বাচনে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী মাঠে ছিলো, এবারও প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে নির্বাচনী কাজে তারা থাকতে পারে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি জানান-অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করার লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন করেন।
সিইসি আলমগীর আরো বলেন, ‘সবদলকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানানোর পরেও বিএনপি না আসায় নির্বাচনে প্রভাব পরবে না। অন্যান্য দেশ চায় বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমরাও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করার লক্ষ্যে কাজ করছি। তা ইতিমধ্যেই সকলে বুঝতে পারছেন। নির্বাচনকে অবাধ করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দল চেয়েছিল প্রশাসনে রদবদল। তার প্রেক্ষিতেই বদলী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সিইসি আলমগীর আরো বলেন-আমাদের দায়িত্ব হলো ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করে দেয়া। ভোটারা যেন অবাধে ভোট দিতে পারে। এজন্য যা যা করা দরকার তাই করে দেয়া হবে। ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কেউ নষ্ট করতে পারবে না’।এসময় অন্যান্যদের মাঝে রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা, র্যাব-১৪ এর প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মুহিবুল ইসলাম খানসহ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিনে সিইসি আলমগীর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হয়তো থাকবে সেনাবাহিনীও। নির্বাচনের পরিবেশ দেখে বিদেশিরা সন্তুষ্ট। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। বরং নির্বাচন কমিশনের চাপে আছে অন্যরা। সকল প্রার্থীদের সমান নিরাপত্তা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদের মেনোফেস্টো দিয়ে ভোটারেদের ভোটকেন্দ্র নিয়ে আসতে হবে। কোন প্রার্থী হয়রানির আশংকা করলে রিটার্নিং কিংবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে জানালেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) কাছাকাছি স্থানে বদলীর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা সর্বোচ্চ দশ মিনিট কেন্দ্রের ভিতর থাকতে পারবেন, ভোট কক্ষের বাইরে লাইভ করতে পারবেন। তাদের মোটর সাইকেল ব্যবহারে নিষেধ নেই। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ আগমন করলে তাকে ফুলের শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।