তানিয়া আক্তার ,নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে চোর সন্দেহে শামীম শিকদার (২১)নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে বাপ-ছেলেকে আটক করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস পূর্বে স্থানীয় একটি ডেকোরেটর এ চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার (৫মার্চ’২৪) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার পিওভাগ গ্রামের সুলতান শিকদারের ছেলে শামীম শিকদার ও বোর্ণী গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে সোহান হোসেন (১৮) কে বাড়ী থেকে তুলে এনে ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের ভিতরে আটকে বেধড়ক মারপিটসহ নির্যাতন চালানো হয়।
এতে গুরুতর আহত হলে তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবাদ দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সন্ধ্যার দিকে অবস্থার অবনতি হলে শামীমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়। অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ও পাবনা চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন (৫০) ও তার ছেলে সুমন আলী (২৬) কে আটক করেছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।
বুধবার(৬ মার্চ)দুপুরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত শামীম শিকদারের স্ত্রী রেশমা বেগম বলেন, আমার স্বামী চুরি করেছে এমন প্রমাণ থাকলে মুক্তার তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতো, দেশে তো আইন আছে, আমার স্বামীকে তারা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, আমি খুনিদের ফাঁসি চাই। জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এক মাস পূর্বের ঘটনায় আইন নিজের হাতে নিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা খুবই দুঃখ জনক, সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শফিউল আযম খাঁন জানান, এই ঘটনায় নিহতের বাবা সুলতান শিকদার বাদী হয়ে রাতেই গ্রেফতারকৃত দুইজনের নাম সহ অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান দুই আসামী মুক্তার ও সুমনকে গ্রেফতার করে, বুধবার তাদের নাটোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।