তানিয়া আক্তার, নাটোর প্রতিনিধিঃ
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশের কারাগারগুলো এখন বিএনপি নেতা-কর্মীতে ঠাসা। এসব কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার কয়েকগুন বেশি বিএনপি’র নেতা কর্মী রয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতর কারাবিধির সব সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেয়ার নেতা কর্মীরা কারাগারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দুলু আরো বলেন, গত ৭ জানুয়ারী বিরোধী দলহীন ডামি নির্বাচন নির্বিঘ্নে ও কণ্টকমুক্ত করার জন্য গুম, খুন, গায়েবী মামলা, হুলিয়া, গ্রেপ্তার, হয়রানি, নিপীড়ন, নির্যাতনের যে ভয়াবহতা চলছিল তা এখনো অব্যাহত রেখেছে এই সরকার। যতই গ্রেফতার, জুলুম ও নির্যাতন করা হোকনা কেন বিএনপি নেতাকর্মীরা এই জালিম সরকারের কাছে মাথা নত করবেনা। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
১১ মার্চ সোমবার জেলা বিএনপি আয়োজিত নাটোরের নির্যাতিত ও কারাভোগকারী ৪৩৭ নেতা কর্মীকে সংবর্ধনা দেওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক এমপি কাজী গোলাম শোর্শেদ, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন , রুহুল আমিন তালুকদার টগর, এ হাই তালুকদার ডালিম, দাউদার মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের হাতে ফুল ও ক্রেষ্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এদিকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সরকারী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এই প্রতিবেদককে বলেন, অফিসের ভিতরে বিএনপির মিটিং চলার সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সরকারী দলের ক্যাডার বাহিনী ২০ থেকে ২৫ টি মোটর সাইকেলে করে বিএনপি অফিসের সামনে আসে এবং অন্তত ৫টি ককটলে নিক্ষেপ করে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এসময় বিএনপি অফিসের অদুরে পুলিশ অবস্থান করছিল।
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এবিষযে পুলিশ কোন সত্যতা পায়নি। অভিযোগকারীরা ককটলে বা বিস্ফোরক কিছুর আলামত পেয়ে থাকলে তা পুলিশের তদন্ত কাজে সহায়তা করা সহ থানায় অভিযোগ করতে পারেন।