দীনেশ চন্দ্র রায় পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম আব্দুস ছালাম কেরু’র বিরুদ্ধে ত্রানের চাল আত্নসাৎ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তার ইমেজকে সংকটে ফেলতে এমন মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে বলে তার দাবী। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জি, এম আব্দুস ছালাম কেরু বলেন, ঘূর্নিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ গড়ইখালী ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদ থেকে ১২ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ হয়। যার মধ্যে ১ম ধাপে ৫ মেঃ টন, ২য় ধাপে ২ মেঃ টন ও ৩য় ধাপে ৫ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে সংসদ সদস্যের মাধ্যমে ২ মেঃ টন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ৫ মেঃ টন চাল বিতরন করা হয়। সর্বশেষ ঈদ-উল-আযহার আগের দিন ৫ মেঃ টন চাল বরাদ্দ হয়। সেকারনে ওই ৫ মেঃ টন চাল তুলতে না পারায় গত ২৩ জুন উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল তুলে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে রাখা হয়েছে। স্ব স্ব ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ঘূর্নিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্হদের তালিকার কার্যক্রম চলছে। তালিকা শেষ হলে চাল বিতরন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে ত্রানের চাল আত্নসাৎ করা হয়েছে বলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সেটি সত্য নয়।
ইউপি সদস্য গাউসুল করিম সরদার ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নাছিমা আক্তার বলেন, আমরা রেমালে ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের জন্য ১২ মেঃ টন পেয়েছিলাম। তার মধ্যে ঈদের আগে ৭মেঃ টন চাল বিতরন করেছি।আর ৫ মেঃটন চাল পরিষদের গোডাউনে রয়েছে। বিতরনের জন্য তালিকা চলছে। তালিকা শেষ হলে ওই চাল বিতরন করা হবে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য না।
গড়ইখালী ইউপি’র হিসাব সহকারি তৈয়েবুর রহমান বলেন, ত্রানের চাল আত্নসাৎ এর প্রশ্নই আসেনা। সরকারি নিয়মনীতি মেনে ট্যাগ কর্মকর্তার মাধ্যমে চাল বিতরন করা হয়েছে। যে চাল বাকী ছিলো সেই চাল গত ২৪ জুন সরকারি গোডাউন থেকে তুলে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে রাখা হয়েছে। তালিকা শেষ হলে বিতরন করব।