রামপাল উপজেলা প্রতিনিধি:
সম্প্রতি আমাকে জড়িয়ে ফেসবুক সহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, Channel 24 সহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মারুফা বেগম নেলী’র সাথে অসৌজন্য ব্যবহার, দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মামলা দেওয়া, মোংলা বন্দর ও সুন্দরবনে বাণিজ্য বিষয়টি যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। অর্থনৈতিক শুমারি বিষয়ে এলাকায় অসন্তোষ ও অন্যান্য কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ফোন করেন । এর প্রেক্ষিতে আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করি। আমার সাথে হাজারের ও বেশী নেতা-কর্মী থাকলে ও আমি শুধু মাত্র সামান্য কিছু নেতাকর্মী নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করি এবং জনগনের অসন্তোষ এর বিষয়টি সেখানেই সমাধান হয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয় এবং আমাদের মাঝে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণও আন্তরিক পরিবেশের মাধ্যমে আলোচনা সম্পন্ন হয়। এ বিষয়টি নিয়ে একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ,ভিন্নখাতে উপস্থাপন করেছে -যা খুবই দুঃখজনক। আমার দ্বারা দলীয় নেতা কর্মীদের নামে মামলা ও নির্যাতন এর তথ্য Channel 24কোথায় পেল ,এটি আমি ও জানতে চাই। এছাড়া আমি মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন নিয়ে কি বানিজ্য করেছি – আমি নিউজ চ্যানেল এর কাছে এটিও জানতে চাই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই যে, আমি এলাকায় যাওয়ার পর এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি, বরং আমার উপস্থিতিতে এলাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এবং আমার সাধ্যমত সকল নেতা-কর্মীদের আমি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমার সাথে যারা কাজ করছে, এরা সকলেই বিএনপি’র ত্যাগী নেতা ও কর্মী -যারা আওয়ামী দুঃশাসন এর সময় চরম অত্যাচার ও নির্যাতন এর শিকার হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে Channel 24 সহ সকল সংবাদ মাধ্যমকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই , রামপাল-মোংলায় কোথাও যদি আপনাদের সংবাদ এর সত্যতার একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেন, তাহলে আমি যে কোন শাস্তি মেনে নেব। আপনাদের মত দায়িত্বশীল সংবাদ মাধ্যম এর এমন সংবাদ প্রচার খুবই দুঃখজনক। উল্লেখ্য, এর পূর্বে ও ঐ একই চ্যানেল আমাকে জড়িয়ে একটা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেছিল-যার তীব্র প্রতিবাদ ও করা হয়েছে । আমি রামপাল-মোংলার যেখানেই যাচ্ছি, সেখানে হাজার হাজার মানুষ আমার কাছে আসছে। এ জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কূচক্রী মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ জঘন্য, বানোয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেছে। আমি এ সংবাদ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া সাংবাদিকতা একটি মহান ও দায়িত্বশীল পেশা। তবে কিছু মিডিয়া হাউজ এর দায়িত্বহীন আচারণ এর কারণে অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা তৈরীর সুযোগ হয়েছে। অপসাংবাদিকতা দেশ, দেশের সাধারণ জনগন ও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন হুমকি স্বরুপ। আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে সকল অপসাংবাদিক ও সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ইস্পাতসম প্রতিরোধ গড়ে তুলি। পাশাপাশি সৎ, আদর্শ ও বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিকতাকে সহযোগিতার মাধ্যমে কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
কৃষিবিদ শামীমুর রহমান (শামীম)
গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটি।