1. admin@dailypollyerkagoj.com : admin :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আঞ্জুমানে আল ইসলাহর জগন্নাথপুর পৌর শাখা ২০২৪ এর কাউন্সিল সম্পন্ন চিতলমারীতে ডাক্তার শর্মী রায় যোগদানের আগেই মিটিং-মিছিল ও মানবন্ধন বাস গাড়ি হারিয়ে দিশেহারা সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ধনবাড়ীতে হোটেল -রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকান শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি পুনর্গঠন  রূপগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ শিক্ষার্থীর প্রতি শ্লীলতাহানির অভিযোগেপ্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি কালীগঞ্জ উপজেলা  বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় কালিগঞ্জে প্যানেল চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন  রামপালে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ

এক নায়কতন্ত্র কওমী মাদ্রাসা 

দৈনিক পল্লীর কাগজ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ২০৪ বার পঠিত

এক নায়কতন্ত্র কওমী মাদ্রাসা

স্টাফ রিপোর্টার

কওমী মাদ্রাসা বাংলাদেশের একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা শত বৎসর ধরে দ্বীনের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে লক্ষ লক্ষ যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম।আর এটাই স্বাভাবিক। কারন এই প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম,বুযু্র্গ,পরহেজগার কিছু আলেমের মাধ্যমে।যারা হচ্ছেন আমাদের পূর্বসূরি।আজও সাধারণ মুসলমান এই প্রতিষ্ঠানকে সম্মানের নজরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভক্তি শ্রদ্ধা করেন। এই সবই আমাদের পূর্বসূরিদের অবদান।কওম অর্থ জনগন । কওমী মাদ্রাসা অর্থ জনগণের মাদরাসা। অর্থাৎ জনগণের অর্থে,পরামর্শে যেই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত।সেটাই কওমী মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অবশ্যই কিছু নীতিমালা প্রয়োজন।আর কওমী মাদ্রাসার নীতি নির্ধারণ হয় মজলিসে শূরার মাধ্যমে।কারণ আল্লাহ তায়ালার এমনটাই আদেশ। আল্লাহ তায়ালার বাণী وامرهم شورى بينهم অর্থ তাদের (মুসলমানের) বিষয়াদি বাস্তবায়ন হবে সম্মিলিত পরামর্শ ক্রমে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কওমী মাদ্রাসার নাম ধারণ করে আজ আমাদের সমাজে অসংখ্য মাদরাসা আনাচে কানাচে গড়ে উঠছে যারা কওমী মাদ্রাসার আদর্শ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্যুত। কওমী মাদ্রাসা থেকে উঠে আসা কিছু পরগাছা।যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠান গুলোকে নাম দিয়েছে প্রাইভেট কওমী মাদ্রাসা।যারা মাদ্রাসা গুলোতে তৈরি করেছে একনায়কতন্ত্র। যেখানে প্রিন্সিপাল ছাড়া অন্যদের সামান্য পরিমাণ মূল্যায়ন করা হয় না। তিনি ছাড়া বাকি সবাই তাঁর হুকুমের গোলাম। তাঁরা সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে খারাপ করে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে টিস্যু পেপার এর মত ডাসবিনে ফেলে দেয়।যথেচ্ছো আইন প্রয়োগ করে। আর সমস্ত আইন নিজের সুবিধা মত করে থাকে। যেমন একজন উস্তাদ বন্ধে বাড়িতে গিয়ে একদিন দেরিতে আসলে পনের দিনের বেতন কেটে দেওয়া। পরিক্ষা নিয়ে ছুটি না দেওয়া। পরীক্ষার ফি সম্পূর্ণ নিজে ভোগ করে। কোন কারণ ছাড়াই বেতন আটকে দেওয়া।যখন মন চায় বেতন না দিয়ে বহিস্কার করে দেওয়া। ২৪ ঘণ্টায় সিসি ক্যামেরায় আবদ্ধ রাখা। ইমারজেন্সি ছুটি প্রয়োজন হলেও ছুটি না দেওয়া। এছাড়াও আরো অনেক নির্যাতনের শিকার প্রাইভেট মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ। যা সবই মানবধিকার লঙ্ঘন। প্রতিটি শিক্ষক নির্যাতনের শিকার। কিন্তু তাদের আর্তনাদ শুনার কেউ নেই। কারণ এই সেক্টরে কোন নীতিমালা নেই।আজ যোগ্য উস্তাদের অভাব। কারণ তাদের মূল্যায়ন করা হয় না। আজকে সকল সাধারণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রাণের দাবি এমন লোকদের লাগাম টানা হোক।ফিরে আসুক মানবতা।

মুক্তি পাক সাধারণ আলেম উলামা।

ধ্বংস হোক ওদের একনায়কতন্ত্র।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ