মোঃ মোমিন ইসলাম সরকার, দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের একমাত্র রাস্তাটি
দেবীগঞ্জ-উপজেলায হয়ে পাকুরিতলা, শালডাংগা, মাড়েয়া টু পঞ্চগড় চিনিকল রাস্তার পাশে পল্লী বিদ্যুতের নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইনের পাশের বড় বড় গাছগুলোর ডাল ছাটায়ের নামে তাদের বিরুদ্ধে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার স্থান সোনাপাতা ধাঁনমাড়া ঘাট পাড় থেকে শুরু করে টাকাহারা যাওয়ার পথে ছলি পাড়া পর্যন্ত প্রায় ১.৫০০ কিলোমিটার রাস্তার বাম দিকে সোমবার (১১ মার্চ ) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটিতে বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশের গাছগুলো ইচ্ছামতো কাটা হচ্ছে। গাছের মধ্য অংশটির উপরের বাড়তি অংশটি কেটে ফেলার বিপরীতে পুরো গাছ সাবাড় করে ফেলছে তারা।
এলাকার আমিনুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে ডালপালা ছাটাই করলে হতো, সেখানে পুরো গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পরে, ওই লাকড়িগুলো অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। সুযোগ সুবিধা মতো সময়ে সবার অলক্ষ্যে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এটা কেমন কথা? গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী। যে গাছ রক্ষা করার কথা, তার বিপরীতে সরাসরি কাটা হচ্ছে।
মনির হোসেন নামে আরেক যুবক বলেন, প্রায় তিন চার দিন ধরে আমাদের রাস্তার পাশে গাছগুলো এভাবে কেটে চলেছে। গাছ কাটার পর পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এগুলো স্থানীয় মানুষের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পল্লী বিদ্যুতের এমন অদ্ভুতভাবে গাছ কাটার নমুনা আমরা আগে কখনো দেখিনি।
দেবীগঞ্জ -পঞ্চগড় মহাসড়ক দিয়ে গেলে হাতের বামদিকে সংযুক্ত করা হচ্ছে নতুন বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখানের গাছগুলো কাটার পাশাপাশি পুরাতন ও নতুন খুঁটির মাঝখানের গাছটির মাঝখান থেকে উপরের অংশটি সম্পূর্ণভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। কর্তনকৃত গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশি কুলবরই, ছাতিম, রেইনট্রি প্রভৃতি।
গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে মুঠোফোনে দেবীগঞ্জ-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোন অফিসের কার্যালয়ের ফোন করলে তারা ফোন ধরেন নি।
পরে এ বিষয় নিয়ে দেবীগঞ্জ-উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজনদেরকে বলা আছে, যে ওরা যদি গাছের ডাল ও কাটে তার পর ও আমাদের কে চিঠি দিতে হবে, তবে এই বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পত্র পাইনি, অনুমতি না নিয়ে এভাবে গাছের ডাল ও গাছ কর্তন করা ঠিক হয়নি ওদের।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য দেবীগঞ্জ-উপজেলা আক্তার হোসেন নিউটনের সঙ্গে জেলা পরিষদের একমাত্র রাস্তাটির গাছগুলো কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তাটি জেলা পরিষদের, তবে গাছ গুলো জেলা পরিষদসহ ভুক্তভোগী পরিবার লাগিয়েছেন ও তালিকা ভুক্ত আছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন এভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে ও কোনো প্রকার চিঠি পত্র না দিয়ে গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের নামে তারা এই ভাবে গাছগুলো কর্তন করতে পারেন না।