যশোর অফিসঃ
এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ের খাতা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেখানোর অভিযোগে উঠেছে এক সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১২ মার্চ দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুলের ল্যাব রুমে এই খাতা দেখান যশোরের মনিরামপুরের কুয়াদাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল এন্ড কলেজ) সহকারি প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার পাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছররে এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ের খাতা পান সহকারি প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার পাল। তিনি সেই খাতা নিজে না দেখে কুয়াদাহ স্কুলটির ল্যাবে চেয়ারে বসে থেকে দশম শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণিতের খাতা মূল্যায়ন করান।
এ বিষয়ের বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বোর্ড পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন অত্যন্ত সেনসিটিভ বিষয়। এটা করে তিনি ঠিক করেননি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল। তবে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি এই কাজ পুনরাবৃত্তি করেন।
স্কুলটির কয়েকজন অভিভাবক জানান, এটা কোন কথা হতে পারে না। উপরের ক্লাসের খাতা নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন কিভাবে সম্ভব? আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে শঙ্কিত। সঠিক মূল্যায়নের অভাবে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে। এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।
অভিযুক্ত কুয়াদাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল এন্ড কলেজ) সহকারি প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার পালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
কুয়াদাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো:ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি বলেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছর পরীক্ষা দেবে তাই তাদের দিয়ে শুধু বৃত্ত ভরাট করেছি, খাতা মূল্যায়ন করিনি এরকম করে। শিক্ষা বোর্ডের খাতা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে ট্রায়াল দেওয়ানো ঠিক হয়েছে কি না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ঠিক হয় নাই।
তবে একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিতোষ স্যার ঐদিন শিক্ষার্থীদের দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করেছেন।
জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, আপনাদের কাছে থাকা তথ্য দিন, আমি খোঁজ নিয়ে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।