এস এম আলমগীর চাঁদ ( পাবনা প্রতিনিধি)
মাদক মামলায় পাবনার বেড়া মডেল থানার পৌর এলাকার স্যান্যালপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন(৭০) একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআর ৬২/২০১৬ নম্বর মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত এই পলাতক আসামীকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে পুলিশ। মূল আসামি ধরতে না পেরে তার পরিবর্তে একই নামের পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা অপরাধে জেলহাজতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বেড়া মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। ভুল আসামি গ্রেফতারের ঘটনায় থানা পুলিশকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।ভুক্তভোগী পরিবার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের মাদক মামলার পলাতক আসামী বেড়া থানার স্যান্যালপাড়া গ্রামের মৃত ওহাব মোল্লার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৭০)। মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু পরোয়ানা সঠিকভাবে যাচাই না করেই গত ১০ জুন পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া থানা এলাকার করমজা পূর্বপাড়া গ্রামের ওহাব ব্যাপারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)কে গ্রেফতার করেন এএসআই আনোয়ার। মামলায় কোন সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও আনোয়ারকে পরদিন ১১ জুন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বেড়া থানা পুলিশ। নিরপরাধ আনোয়ার বিনা দোষে ছয়দিন জেল হাজতে কাটান।এদিকে পরবর্তীতে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদে করমজা গ্রামের এই আনোয়ার সাজাপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার নন বলে নিশ্চিত হন বিজ্ঞ বিচারক সুরাইয়া সরকার। আদালতে দাখিল করা নাগরিক সনদ,প্রত্যয়ন পত্রসহ প্রয়োজনীয় নথি পর্যালোচনা করে আদালত আনোয়ারকে ০৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এএসআই আনোয়ার ভুক্তভোগী আসামিকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।অথচ চলতি মাসের ০৯ তারিখে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তালিমকারী অফিসার হিসেবে এই এএসআই আনোয়ার পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি কর্তৃক মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সম্মাননা স্মারক পুরুস্কারও পান।
ভুক্তভোগী আনোয়ার বলেন,১০ জুন বিকেলে এএসআই আনোয়ার আমার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসা করে, তোর নাম কী?আমি বলি, আনোয়ার।বাবার নাম কী? আমি বলি ওহাব ব্যাপারি। তখন আমাকে বলে থানায় চল,তুই সাজাপাপ্ত আসামি। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বার বার তার ভুল হচ্ছে জানালেও সে তোয়াক্কা না করে আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে পরদিন চালান করে দেয় ।
দীর্ঘ ছয় দিন পরে আমি জামিনে মুক্ত হই ।
এ ব্যাপারে বেড়া এস পি ( সার্কেল ) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আদালত থেকে সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সঠিক তদন্ত শেষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।